শিক্ষা অর্জনের একমাত্র উদ্দেশ্য হোক সৃজনশীলতা

শিক্ষা আমাদের সুপ্ত প্রতিভাকে জাগ্রত করে তোলে। শিক্ষা হচ্ছে বৃদ্ধি ও বিকাশমূলক প্রক্রিয়া। মহাত্মা গান্ধী বলেছেন “ব্যক্তির দেহ, মন ও আত্মার সুষম বিকাশের প্রয়াস হলো শিক্ষা।“ কিন্তু বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে ভালো চাকুরী পাওয়ার উদ্দেশ্যেই শিক্ষা অর্জন করা হয়। আমাদের শিক্ষার প্রধান লক্ষ্যই যেন তা-ই। ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পাস করতে না পারলে ভালো চাকুরী পাওয়া যাবে না। আমাদের শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্য চাকরির মধ্যেই সীমাবদ্ধ! অথচ শিক্ষা এমন হওয়া উচিত যেটি মানসিক বিকাশ, উন্নত মননশীল, সৃজনশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে। শিক্ষা এমন হওয়া উচিত যা দেশের কাজে লাগবে, দশের কাজে লাগবে। সাহিত্য সাধনায়, জ্ঞান বিজ্ঞানে, অজানাকে জানার প্রবল ইচ্ছে, সব বিষয় নিয়ে অবাধ বিচরণ ইত্যাদি ছাড়া শিক্ষা সম্পুর্ণ হতে পারে না। আর যেই শিক্ষা নিজেকে একজন স্বাতন্ত্রিক, আত্মমর্যাদাশীল, দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ হিসেবে গড়ে তুলে দিতে পারে না সেই শিক্ষা অনর্থক। চাকুরির পিছনে ছুটতে ছুটতে আজ আমরা প্রকৃত শিক্ষা থেকে বিচ্যুত। শিক্ষা আসলে কি তা আজ আমাদের মধ্যে লালায়িত নেই। নেপোলিয়ন বলেছিলেন, ” আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি একটা শিক্ষিত জাতি দিব”। নেপোলিয়ন মোটেও এরকম শিক্ষিতের কথা বলেন নি। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রকৃত শিক্ষা কি তার মানেই বুঝবে না। তাই শুধু চাকুরির প্রত্যাশায় শিক্ষিত না হয়ে, মানসিক বিকাশ, উন্নত মননশীল ও সৃজনশীল হওয়ার জন্য শিক্ষা গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি। শিক্ষায় আলোকিত হোক এ দেশের প্রত্যেক নাগরিক আর গড়ে উঠুক একটি আলোকিত বাংলাদেশ।
লেখক
সাজ্জাদ হোসেন রায়হান
শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ
ঢাকা কলেজ, ঢাকা।